
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু ও বৃদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার মহিশালবাড়ি, আলীপুর ও সাগরপাড়া মহল্লায় কুকুরটি সামনে যাকে পেয়েছে, তাকেই আক্রমণ করেছে। পরে স্থানীয়রা কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন, এরপর এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক কিছুটা কমে আসে।
তিন দিন ধরে কুকুরের তাণ্ডব
স্থানীয়রা জানান, রোববার থেকে কুকুরটি একের পর এক মানুষকে কামড়াতে থাকে, ফলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাগরপাড়া মহল্লায় কুকুরটিকে দেখতে পেয়ে কয়েকজন লাঠি নিয়ে ধাওয়া করেন এবং পিটিয়ে মেরে ফেলেন।
আহতদের চিকিৎসা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, কুকুরের কামড়ে আহত ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
মহিশালবাড়ির বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, “সোমবার বিকেলে আমার ছেলে বাড়ির পাশে খেলছিল। হঠাৎ কুকুরটি এসে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড়ে দেয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।”
আলিপুর মহল্লার হোসেন আলী বলেন, “রোববার সকালে আমার ৪ বছরের ছেলে বাড়ির পেছনে খেলছিল। তখন কুকুরটি তাকে আক্রমণ করে। দ্রুত তাকে গোদাগাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই, কিন্তু সেখান থেকে ভ্যাকসিন কিনতে বলা হয়। পরে রাজশাহী থেকে এক হাজার টাকায় ভ্যাকসিন এনে তাকে দিই।”
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বক্তব্য
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. হাসানুল জাহিদ জানান, “কুকুরের কামড়ে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকে এবং আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি।”
এই ঘটনায় গোদাগাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা অস্বাভাবিক আচরণ করা কুকুর দেখলে দ্রুত প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।