
মোঃ রাজন আহমেদ:
রাজশাহীতে সড়ক দু*র্ঘট*নায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯ পরিবারকে সরকারের অনুদান হিসেবে ৩৭ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ চেক বিতরণ করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক জনাব আফিয়া খাতুন।
অনুদান পাওয়া পরিবারগুলো শুধু সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি, তারা সড়ক দু*র্ঘট*না কমানোর জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা চান, ট্রাফিক আইন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হোক।
এ সময় সড়ক দুর্ঘ*ট*নায় স্বজন হারানো এক ভুক্তভোগী বলেন, “আমরা এক মুহূর্তে সবকিছু হারিয়েছি। পরিবার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল। এই অনুদান অন্তত আমাদের একটু স্বস্তি দিল, নতুন করে বাঁচার সাহস দিল।”
একজন আহত ব্যক্তি জানান, “দুর্ঘটনার পর চিকিৎসা করানো কঠিন হয়ে গিয়েছিল। এই অর্থ পেয়ে এখন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারবো। সরকার যদি পাশে না দাঁড়াতো, জানি না কী হতো।”
আরেকজন শোকাহত অভিভাবক বলেন, “আমার সন্তানকে তো আর ফিরে পাবো না, কিন্তু এই সহায়তা অন্তত পরিবারটাকে কিছুটা স্বস্তি দিল।
অনুষ্ঠানে বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) জনাব আবদুর রশিদ জানান, রাজশাহী জেলার ৯টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ৩৭ লক্ষ টাকা অনুদান ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সদর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই অনুদান ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তির পরিবার বা তার নিকট আত্মীয় দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) বরাবর আবেদন করতে পারবেন। এই অনুদান কেবলমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারকেই প্রদান করা হবে, অন্য কেউ এ অনুদান পাওয়ার যোগ্য নন।
অনুদান বিতরণকালে জেলা প্রশাসক জনাব আফিয়া খাতুন বলেন, “সড়ক দুর্ঘ*ট*নায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দুঃখ-কষ্ট আমাদের ব্যথিত করে। এই অনুদান ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবে না, কিন্তু অন্তত কিছুটা সহায়তা দিতে পারবে।”
তিনি আরও বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন মেনে চললে অনেক দুর্ঘ*টনা এড়ানো সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অন্যারাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯ পরিবার পেল ৩৭ লক্ষ টাকার অনুদানন্য সরকারি কর্মকর্তারা।