
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহীতে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনের হাওয়া। দিনক্ষণের ঘোষণা না এলেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মুখিয়ে আছে বিএনপি ও জামায়াত। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে মাঠে তৎপর বিএনপির প্রায় তিন ডজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে এবং নানা কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন।
এরই মধ্যে পাঁচটি আসনের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আর বাকি আসনে মনোনয়নের কাজ চলছে। কেন্দ্রীয়ভাবে দলের অবস্থা যেমনই হোক না কেন, স্থানীয়ভাবে জাতীয় পার্টিরও কয়েকজন নেতাকর্মী নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। একের পর এক মামলার চাপ ও গ্রেফতার আতঙ্কে তারা লাপাত্তা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচটি আসনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক ইসলাম দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তবে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান রাজশাহী মহানগর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আশরাফুল আলম ইমন।
তিনি আরও জানান, প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ড কাজ করেছে এবং রোববার পাঁচটি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত প্রার্থী তালিকা:
✅ রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) – দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
✅ রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) – নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।
✅ রাজশাহী-৪ (বাগমারা) – দলটির নেতা ডা. আবদুল বারী সরদার।
✅ রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) – জেলার সহকারী সেক্রেটারি নুরুজ্জামান লিটন।
✅ রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) – জেলার আরেক সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক নাজমুল হক।
এদিকে, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে কেন দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, সাবেক সেক্রেটারি ডা. মো. জাহাঙ্গীর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম ইমনের নাম আলোচনায় রয়েছে।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা নিয়ে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতা বলেন, “বিএনপির হাইকমান্ড এখনো মনোনয়ন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, আমরা এখন দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত। তবে বিগত ১৬ বছরে যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।”