
লিয়াকত আলী বাবলু ঃ মহাদেবপুরে আত্রাই নদীতে দুর্গা বিসর্জনের সময় নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পর এক কিশোরের লাশ দুর্ঘটনা স্থলের ৩শ মিটার দূর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যানা গেছে ২ অক্টোবর মহাদেবপুরের আত্রাই নদীতে অন্যান্য বছরের মত এ বছরও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চাইতে বড় উৎসব দুর্গা বিসর্জনের জন্য দুপুরের পর থেকেই উপজেলার অধিকাংশ পূজা মন্ডপ থেকে দুর্গা মূর্তি এনে নৌকাতে তুলে ঢাক ঢোল মাইক বাজিয়ে ওই সম্প্রদায়ের যুবক কিশোররা মহা আনন্দে মেতে ওঠে। সন্ধ্যার দিকে দুর্গা বিসর্জনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে একটি নৌকা থেকে একজন যুবক ও একজন কিশোর নদীতে পড়ে যায়।
এদের মধ্যে ভাগ্য ক্রমে বেঁচে যাওয়া যুবক প্রান্তজিত হালদার জানান, ওই নিখোঁজ কিশোরকে সে পানি থেকে তোলার অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যরা তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। খবর পেয়ে মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস এর ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নদীতে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। রাতে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ৩ অক্টোবর সকাল থেকে মহাদেবপুরের ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল এবং রাজশাহী থেকে আগত ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি ডুবুরি দল দিনভর উদ্ধার কাজ চালিয়ে যান। দুর্ঘটনার ঠিক ২৪ ঘন্টা পর সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে ৫ টা ৪০ মিনিটের সময় দুর্ঘটনা স্থলের ভাটির দিকে ৩শ মিটার দূরে গরু হাটির সন্নিকটে একজন জেলে ওই কিশোরের লাশ ভাসতে দেখে চিল্লাচিল্লি শুরু করলে উদ্ধারকারী দল ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান ,মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহিন রেজা, মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ আশরাফুর রহমান ,খাজুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন ওই কিশোরের লাশ তার পিসি ( ফুফু)প্রমিলা হালদারের নিকট হস্তান্তর করে। নিহত কিশোর মান্দা উপজেলার মদন চক( বানডুবি )গ্রামের রঞ্জিত হালদারের ছেলে রনি হালদার (১৫) বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে , প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেেকেই জানান ওই কিশোর ভালোমতো সাঁতার জানতেন না এবং অনেকগুলি ইঞ্জিন চালিত নৌকা একসাথে নদীতে চলাচলের কারণে পানির পাকে সে নিমজ্জিত হয়ে যায়।#


