
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গৃহবধু কর্তৃক শ্বশুর-শাশুড়িকে দুধের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ভোররাতে সেহেরী খাওয়ার সময় উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পর অসুস্থ শ্বশুর-শাশুড়িকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গৃহবধু শ্যামলীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যরা।
শ্বশুর জলিল হোসেন জানান, তার একমাত্র ছেলে নাসির উদিদ্দন এর স্ত্রী শ্যামলী খাতুন (৩০) এর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পরিবারের মধ্যে বিরোধ ও শ*ত্রু*তা চলে আসছিল। মঙ্গলবার ভোররাতে সেহরী খাবার পূর্বে ছেলের বৌ শ্যামলী খাতুন সেহরী রান্না করে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী নাসিরকে খেতে দেয়। পরে শ্বশুর-শাশুড়িকে দুধ দিয়ে ভাত খেতে বলে। প্রথমে শাশুড়ি মাশিদা বেগম, এর পর শ্বশুর জলিল দুধ দিয়ে ভাত খাবার সময় বিষের গন্ধ পায়। এরপর তারা দুইজনই হঠাৎ রক্তবমি শুরু করে।
পরে পরিবারের লোকজন এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। এ সময় শ্বশুর জলিল হোসেন (৬৫) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে শাশুড়ি মাশিদা বেগম (৫৭) উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকসিদুল আলম । তিনি বলেন, ৭২ ঘন্টা না জাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এদিকে শ্বশুর জলিল হোসেন আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে যে কোনো সময় তার ছেলের বৌ শ্যামলী খাতুন পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দুধের পাত্রে বিষ প্রয়োগ করে তাদের স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালায়। নাসিরের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছেন বলেও নিতি নিশ্চিত করেন ।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম.আসাদ্দুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যে পর্যন্ত থানায় কেই কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।